ভারতীয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহানের মাতৃত্বের খবর সকলেরই জানা। যদিও এখনও গোপনে রয়েছে সেই সন্তানের পিতৃ পরিচয়। তবে ভারতে সিঙ্গেল মাদার হওয়া আইনত বৈধ। কোনও নারীকে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করার সময় বাবার নাম না দিলেও চলবে। আপাতত বেশ সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রাক্তন নিখিল জাহানের সঙ্গে হওয়া তুরস্কের বিয়ে অবৈধ বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। সঙ্গে লুকিয়ে রাখেননি নিজের প্রেগন্যান্সির কথাও।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার খবরে জানানো হয়, রোববার সন্ধ্যায় পরিচালক সুদেষ্ণা রায়ের সঙ্গে ‘সুবিধা’ গর্ভনিরোধক ওষুধের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে ছিলেন তিনি। সেখানে গর্ভনিরোধক ওষুধ সংক্রান্ত নানা আলাপ আলোচনার মাঝে নুসরাতের মুখে বারবার শোনা যায় নারীদের ক্ষমতায়নের কথা। সমাজে পুরুষ আর নারীর মধ্যে এখনও যে একটা পার্থক্য রয়েছে, এখনও যে নারীরা তাদের মনের কথা খোলাখুলি বলতে পারেন না সমাজের ভয়ে, সে ব্যাপারেই কথা বলতে শোনা যায় অভিনেত্রীকে।
কথা প্রসঙ্গে, নুসরাত জানান, ‘আমার মেয়ে হলে তাকে শেখাব যাতে কারও কাছে কখনও মাথা নত না করে’। অবশ্য পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলেন, ‘ছেলে হলেও এটাই শেখাব। একজন মানুষ হিসেবে নিজের শর্তে বাঁচা খুব জরুরি। সমাজ কী বলল বা কী ভাবল, তার ভয়ে নয়। সবার আগে তাই নিজেকে ভালোবাসতে হবে।’
এখন কীভাবে দিন কাটছে হবু মা নুসরাতের? নিজের মুখেই তিনি জানালেন সে কথা। নুসরাতের কথায়, ‘সবার আগে নিজের শরীরের খেয়াল রাখছি। নিজে সবসময় খুশি আর পজিটিভ থাকার চেষ্টা করছি। আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন আমি খুব পজিটিভ একটা মানুষ। নিজের মতো করে ভালো থাকতে ভালোবাসি। আর এখন সেটাই করছি। কাজ যা হচ্ছে, তার বেশিরভাগটাই তো অনলাইনে। তার মাঝে অবশ্য কিছু বিজ্ঞাপনের শুটিং করেছি, ফটোশুট করেছি।’
আর তাকে নিয়ে চলা ট্রলিংয়ের ব্যাপারে তার কী মত, জানতে চাওয়া হলে অভিনেত্রী জানান, ‘বহুদিন আগেই সেসব পাত্তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আসলে পাবলিক ফিগার হলেই তো লোকে ভাবে একে নিয়ে যা ইচ্ছে বলা যায়। বেশিরভাগই ফেক অ্যাকাউন্ট। কী হবে সেসব ভেবে।’